মানুষের ইতিহাস : ইউভাল নোয়া হারারি

মানুষের ইতিহাস- ইউভ্যাল নোয়াহ হারারিহারারির এই কাজ মানব ইতিহাসের বিবরণকে একটি কাঠামোর মধ্যে উপস্থিত করেছে: প্রাকৃতিক বিজ্ঞানকে তিনি মানুষের ক্রিয়াকলাপের সম্ভাবনার সীমা বিবেচনা করেন এবং সামাজিক বিজ্ঞানকে সেই সীমার মধ্যে কী ঘটেছিল তার রূপদান হিসেবে বিবেচনা করেন। ইতিহাসের শিক্ষায়তনিক অনুশাসন হল সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ঘটনা।

  • বুদ্ধিবৃত্তিক বিপ্লব (আনু. ৭০,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ, যখন স্যাপিয়েন্সের কল্পনার বিবর্তিত হয়)।
  • কৃষি বিপ্লব (আনু. ১০,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ, কৃষির উন্নয়ন)।
  • মানবজাতির একীকরণ (একটি আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যের দিকে মানব রাজনৈতিক সংগঠনের ক্রমান্বয়ে একীকরণ)।
  • বৈজ্ঞানিক বিপ্লব (আনু. ১৫০০ খ্রিস্দাব্দ, উদ্দেশ্য বিজ্ঞানের উত্থান)।

২০. সেপিয়েন্সের শেষের শুরু

পদার্থবিজ্ঞান থেকে রসায়ন, তারপর জীববিজ্ঞান এবং এর উত্তরসূরী হিসেবে মানুষের ইতিহাসকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে এই বইটির সূচনা। আর সব জীবিত সত্তার মত মানুষের জীবনও নিয়ন্ত্রণ করে একই প্রাকৃতিক শক্তি, রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং প্রাকৃতিক নির্বাচন পদ্ধতি। প্রাকৃতিক নির্বাচন হয়তো মানুষকে অন্যান্য সকল প্রাণীর থেকে বৃহত্তর ক্ষেত্রে বিচরণের সুযোগ করে দিয়েছে কিন্তু সে বিচরণের সীমারেখাও কিন্তু …

২০. সেপিয়েন্সের শেষের শুরু আরও পড়ুন »

১৯. অতঃপর তারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে লাগল

গত ৫০০ বছরে পৃথিবী নামক এই গ্রহটি অনেকগুলো শ্বাসরুদ্ধকর উত্থান-পতনের ভিতর দিয়ে গেছে। মিলেমিশে এক হয়ে গেছে তার বিভিন্ন অংশের পরিবেশ ও ইতিহাস। অর্থনীতির বিকাশ হয়েছে প্রায় বিস্ফোরণের মতো। আজ সমগ্র মানবজাতির যত সম্পদ, তার পরিমাণ রূপকথাকেও হার মানিয়ে দেয়। ইতিহাসের এই সময়কালে, বিজ্ঞান আর শিল্পের বৈপ্লবিক উন্নতি মানুষকে প্রায় অতিমানবীয় ক্ষমতা এনে দিয়েছে। খোলনলচে …

১৯. অতঃপর তারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে লাগল আরও পড়ুন »

১৮. চিরস্থায়ী বিপ্লব

শিল্প বিপ্লব প্রাকৃতিক শক্তিগুলোকে প্রয়োজনমতো কাজে লাগানোর মাধ্যমে এবং নানা রকম পণ্য উৎপাদনের নিত্যনতুন উপায় উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানবজাতিকে তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উপর নিরুপায় নির্ভরশীলতা থেকে মুক্ত করেছে। এরপর মানুষ বন জঙ্গল কেটে ফেলেছে, জলাভূমি শুকিয়ে ফেলেছে, নদীতে বাঁধ দিয়েছে, সমতলভূমিতে পানি এনেছে, হাজার হাজার কিলোমিটার রেললাইন বসিয়েছে আর উঁচু উঁচু ইমারতের বিশাল সব শহর বানিয়েছে। …

১৮. চিরস্থায়ী বিপ্লব আরও পড়ুন »

১৭. শিল্পের রথ

আধুনিক যুগের অর্থনীতি বিকাশ লাভের পেছনে দুটো উপাদানের অবদান অনস্বীকার্য। একটা হল, ভবিষ্যতের উপর আমাদের অগাধ বিশ্বাস, আর আরেকটা হল পুঁজিপতিদের নতুন নতুন পণ্যের উৎপাদনে ক্রমাগত বিনিয়োগ। কিন্তু অর্থনীতির বিকাশে কেবল এই দুটি উপাদানই যথেষ্ট নয়। অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য আরও প্রয়োজন শক্তির যোগান এবং কাঁচামাল। এসবের পরিমাণ সীমিত। যখন এই দুটো উপাদানের যোগান ফুরিয়ে আসবে, …

১৭. শিল্পের রথ আরও পড়ুন »

১৬. পুঁজিবাদের দর্শন

সাম্রাজ্য তৈরি আর বিজ্ঞানের বিকাশের পিছনে টাকার বড় রকমের ভূমিকা ছিল ঠিকই। কিন্তু টাকাই কি এই দুটো কাজের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল? ইতিহাসে অর্থনীতির আসল ভূমিকাটা চট করে বুঝে ওঠা যায় না। টাকা যুগে যুগে সাম্রাজ্য তৈরি আর ধ্বংস করেছে, নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে, শিল্পকারখানার চাকা ঘুরিয়েছে, আবার লাখ লাখ মানুষকে বানিয়েছে দাস, শত শত …

১৬. পুঁজিবাদের দর্শন আরও পড়ুন »

১৫. বিজ্ঞান আর সাম্রাজ্যবাদের গাঁটছড়া

পৃথিবী থেকে সূর্য কত দূরে? অনেক জ্যোতির্বিদকে গলদঘর্ম করে ছেড়েছে এই প্রশ্নটা। বিশেষ করে কোপার্নিকাস যখন বললেন পৃথিবী নয়, সূর্যই মহাবিশ্বের কেন্দ্র, তখন থেকে আরও বেশি করে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে সবাই। অনেক জ্যোতির্বিদ আর গণিতবিদ বিভিন্ন পদ্ধতিতে এই দূরত্ব মাপার চেষ্টা করেছেন, আর তাঁদের উত্তরও এসেছে বিভিন্ন রকম। শেষমেশ আঠারো শতকের মাঝামাঝির দিকে একটা নির্ভরযোগ্য …

১৫. বিজ্ঞান আর সাম্রাজ্যবাদের গাঁটছড়া আরও পড়ুন »

১৪. জানি না বলতে শেখা

ধরা যাক, আনুমানিক এক হাজার খ্রিস্টাব্দের কোন এক রাতে একজন কৃষক ঘুমিয়ে পড়লেন এবং তার ঘুম ভাঙল প্রায় পাঁচশ বছর পর এক হট্টগোলে। কলম্বাসের সহযোগী নাবিকরা যখন নিনা, পিন্টা এবং সান্তা মারিয়া নামে তিনটি জাহাজ ছাড়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করলেন, তখনই এই হট্টগোলের সূত্রপাত। ঘুম থেকে উঠে তিনি পৃথিবীর যে রূপ দেখতেন, সেটা তার কাছে …

১৪. জানি না বলতে শেখা আরও পড়ুন »

১৩. সাফল্যের রহস্য

বাণিজ্য, সাম্রাজ্য এবং ধর্মের বিস্তার বিভিন্ন মহাদেশের বিচ্ছিন্ন সেপিয়েন্সদেরকে একত্রিত করে একটি একীভূত মানব সমাজ গড়ে তুলতে সহায়তা করে। তবে পৃথিবীজুড়ে সেপিয়েন্সের এই ছড়িয়ে পড়া এবং একত্রিত হবার প্রক্রিয়াটা মোটেই সরল ছিল না, আর একেবারে নির্বিঘ্নেও সেটা সম্পন্ন হয়নি। যদিও মোটা দাগে দেখলে মনে হয়, অনেকগুলো ছোট ছোট সংস্কৃতির রূপান্তরিত হয়ে কয়েকটা বড় সংস্কৃতিতে পরিণত …

১৩. সাফল্যের রহস্য আরও পড়ুন »

১২. ধর্মের রীতিনীতি

মধ্যযুগে মধ্য এশিয়ার মরুশহর সমরখন্দের (Samarkand) বাজার ছিলো জমজমাট। সেখানে একদিকে যেমন সিরিয়ার ব্যবসায়ীরা নিয়ে আসত চমৎকার চীনা রেশম, অন্যদিকে স্তেপ (Steppes) অঞ্চলের যুদ্ধবাজ লোকেরা বেচাকেনা করত পশ্চিমের দেশ থেকে আনা ক্রীতদাস। দোকানীরা তাদের পণ্য বেচে পকেটে পুরত কোনো নাম না জানা রাজার ছবি আর স্বাক্ষরওয়ালা চকচকে সোনার মোহর। সেই বাজারে ছিল উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিমের নানা …

১২. ধর্মের রীতিনীতি আরও পড়ুন »

Scroll to Top
Scroll to Top