লাল নীল দীপাবলী

২৭. বিশশতকের আলো : আধুনিকতা

বিশশতকের আলো : আধুনিকতা আমরা বিশশতকের অধিবাসী। আর একটি দশক কেটে গেলে আমরা পৌছোবো একুশশতকে। বাঙলা সাহিত্যের শুরু হয়েছিলো আজ থেকে হাজার বছরেরও বেশি আগে। শুরুর দিকে ছিলেন কাহ্নপাদ-লুইপাদেরা; আমরা আছি এ-প্রান্তে। তবে শেষ প্রান্তে নয়। আরো অনেক শতক টিকে থাকবে বাঙলা ভাষা ও সাহিত্য। রূপ নেবে নতুন নতুন, হয়তো এমন রূপ নেবে, এমন হবে …

২৭. বিশশতকের আলো : আধুনিকতা আরও পড়ুন »

২৬. রবীন্দ্রনাথ : প্রতিদিনের সূর্য

আকাশে সূর্য ওঠে প্রতিদিন, আমরা সূর্যের স্নেহ পাই সারাক্ষণ। সূর্য ছাড়া আমাদের চলে না। তেমনি আমাদের আছেন একজন, যিনি আমাদের প্রতিদিনের সূর্য। তাঁর নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)। তিনি আমাদের জীবনে সারাক্ষণ আলো দিচ্ছেন। তিনি বাঙলা ভাষার সবার বড়ো কবি। তাই নয় শুধু, তিনি আমাদের সব। তিনি কবিতা লিখেছেন, গল্প লিখেছেন, উপন্যাস লিখেছেন, নাটক রচনা করেছেন, …

২৬. রবীন্দ্রনাথ : প্রতিদিনের সূর্য আরও পড়ুন »

২৫. নাটক : জীবনের দ্বন্দ্ব

বাঙলাদেশের চিরকালের নাটক যাত্রা’। নাটক বলতে আজ যা বোঝায়, তা আধুনিক কালের সৃষ্টি। যাত্রার সাথে নাটকের পার্থক্য অনেক। যাত্রা পুরোনো কালের, নাটক নতুন কালের। বাঙলা নাটকের কথা বলতে গেলে প্রথমেই মনে পড়ে এক বিদেশিকে। সেবিদেশির দেশ রাশিয়া; নাম তার গেরাসিম লেবেদেফ [১৭৪৯-১৮১৮]। নাটক আর জ্ঞানপাগল এ-লোকটি কলকাতা আসেন আঠারোশতকের শেষদিকে। তিনিই কলকাতায় সবার আগে মঞ্চস্থ …

২৫. নাটক : জীবনের দ্বন্দ্ব আরও পড়ুন »

২৪. উপন্যাস : মানুষের মহাকাব্য

উপন্যাস মানুষের কাহিনী; সাধারণ মানুষের কাহিনী। চারপাশের বাস্তব মানুষের গল্প। আগে সাহিত্য রচিত হতো দেবতাদের নিয়ে, পরীদের নিয়ে, তাদের নিয়ে যারা অসাধারণ। মানুষের জীবনে গল্প আছে, এবং তা শোনার মতো, একথা মনে হয় নি মানুষের শতোশতো বছরে। আধুনিককালে এক সময় মানুষ আবিষ্কার করে যে তারই মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে বেশি গল্প। তার ঘরে, তার মনে, তার …

২৪. উপন্যাস : মানুষের মহাকাব্য আরও পড়ুন »

২৩. কবিতা : অন্তর হতে আহরি বচন

উনিশশতকের প্রথমার্ধ ভরে চলে গদ্যের রাজত্ব; সবদিকে কেবল গদ্যের পতাকা উড়তে থাকে। সে-সময়ে গদ্যই সম্রাট। যেদিকে তাকাই গদ্য আর গদ্য; গদ্যের মহাসমুদ্রে অবিরাম ঢেউ উঠছে আর ভেঙে পড়ছে। এ-সময়ে চলছিলো কবিতার আকাল। কোনো ফসলই ফলছিলো না কবিতার। বাঙলাদেশে এমনটি আর দেখা যায় নি। যদি কবিতাই না থাকে, তবে থাকলে কী বাঙলা সাহিত্যের! বাঙলা সাহিত্যের দেবী …

২৩. কবিতা : অন্তর হতে আহরি বচন আরও পড়ুন »

২২. গদ্যের জনক ও প্রধান পুরুষেরা

বিভিন্ন লেখকের হাতের স্পর্শে বাঙলা গদ্য ধীরেধীরে ধারণ করেছিলো নিজের প্রকৃত রূপ। কেউ রচনা করেছিলেন পাঠ্যবই লেখার উপযোগী গদ্য, কেউ গদ্যকে করে তুলেছিলেন যুক্তিতর্কের উপযোগী। কারো হাতে গদ্য হয়ে উঠেছিলো গল্পের উপযোগী, কারো হাতে হয়ে উঠেছিলো সমালোচনা সাহিত্যের উপযোগী। কিন্তু উনিশশতকের প্রথম দু-তিন দশক ধরে চলে গদ্যের বিকাশ ও সুস্থিতির কাজ। এমন কোনো বড়ো গদ্যশিল্পী …

২২. গদ্যের জনক ও প্রধান পুরুষেরা আরও পড়ুন »

২১. গদ্য : নতুন সম্রাট

বাঙলা ভাষায় গদ্য উনিশশতকের শ্রেষ্ঠ উপহার। আজ চারদিকে গদ্যের জয়জয়কার, গদ্য ছাড়া আজ এক মুহূর্ত চলে না। গল্প, উপন্যাস, নাটক লেখা হচ্ছে গদ্যে; প্রবন্ধ গদ্য ছাড়া লেখাই যায় না; এমনকি কবিতাও আজকাল লেখা হচ্ছে গদ্যে, যেমন আগে প্রবন্ধ লেখা হতো কবিতায়। আধুনিক জীবন গদ্যশাসিত; বর্তমানের প্রভু হচ্ছে গদ্য। গদ্য আগেও ছিলো, বিকশিত হতে শুরু করে …

২১. গদ্য : নতুন সম্রাট আরও পড়ুন »

২০. অভিনব আলোর ঝলক

আসে উনিশশতক। বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের দিকেদিকে সাড়া পড়ে যায়। উনিশশতকে সূচনা হয় বাঙলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের। এ-আধুনিকতা, যাকে বলেছি অভিনব আলো, তার কিরণ পড়ে সাহিত্যের সমগ্র ভুবনে। মধ্যযুগে বাঙলা সাহিত্য ছিলো সংকীর্ণ; সবগুলো শাখা বিকশিত হয় নি তাতে। উনিশশতকে বিকশিত হয় তার সব শাখা, বাঙলা সাহিত্য হয়ে ওঠে সম্পূর্ণ সাহিত্য। আধুনিকতা কাকে বলে? মানুষ …

২০. অভিনব আলোর ঝলক আরও পড়ুন »

১৯. দ্বিতীয় অন্ধকার

বাঙলা সাহিত্যের শুরুতে আছে একটি আঁধার যুগ। তখন দেড়শো বছর কেটেছে অন্ধকারে। সে-সময়ের কোনো লেখা আসে নি আমাদের হাতে। আবার মধ্যযুগ যখন শেষ হয়, তখন নামে সামান্য অন্ধকার। অবশ্য এমন নয় যে এ-সময় কিছু লেখা হয় নি। লেখা হয়েছে, অনেক লেখা হয়েছে। তার প্রায় সবটাই এসেছে আমাদের কাছে। কিন্তু তবু এসময়ে আমাদের সাহিত্যের আঙিনায় আলোর …

১৯. দ্বিতীয় অন্ধকার আরও পড়ুন »

Scroll to Top
Scroll to Top