আমরা আগেই দেখেছি আণবিক জীববিদ্যা, জেনেটিক্স, জিনােমিক্সের পরীক্ষাগুলাে বলছে যে ৫০-৬০ লক্ষ বছরের কাছাকাছি কোন সময়ে শিম্পাঞ্জি এবং মানুষের পূর্বপুরুষেরা আলাদা হয়ে যায়, এই তথ্যের সাথে এখন পর্যন্ত পাওয়া ফসিল রেকর্ডগুলােও কিন্তু প্রায় মিলে যাচ্ছে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ৬০-৮০ লক্ষ বছরের পুরনাে কয়েকটি ফসিলের অংশ বিশেষ (তাদের মধ্যে রয়েছে কেনিয়া থেকে পাওয়া Orrarin tugenensis, ইথিওপিয়া থেকে পাওয়া Ardipithecus ramidus, চাদ থেকে পাওয়া Sahelanthropus tchadensis, ইত্যাদি) পাওয়া গেলেও বিজ্ঞানীরা এখনও এদেরকে মানুষের সবচেয়ে পুরােনাে পূর্বপুরুষের ফসিল বলে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। কারণ তাদের মতে, কোন সিদ্ধান্তে পৌছানাের মত পর্যাপ্ত পরিমাণ সাক্ষ্য প্রমাণ নাকি এখনও পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞানীদের কাছে গ্রহণযােগ্য ফসিল রেকর্ডগুলাে থেকে আমরা কি এখন পর্যন্ত কি জানতে পেরেছি? আসলে গত কয়েক দশকে এত রকমের মানুষের পূর্বপুরুষের প্রজাতির ফসিল পাওয়া গেছে যে, আমাদের চোখের সামনে মানব বিবর্তনের ছবিটা দিন দিন বেশ পরিষ্কার হয়ে উঠছে। প্রায় ৪১ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকায় মানুষ এবং এপের মাঝামাঝি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন প্রজাতি Australopethicus anamensis (Australopethicus এর অর্থ হচ্ছে দক্ষিণের এপ) এর অস্তিত্ব ছিল।
আসলে এই কথাটা বলার সাথে সাথেই উৎসাহী পাঠকের মনে এক ঝাক প্রশ্নের উদয় হওয়াটাই কিন্তু স্বাভাবিক। এরা কি আমাদের সরাসরি পুর্বপুরুষ ছিল? মানুষের পূর্বপুরুষ হতে হলে কোন প্রজাতির কি কি ধরণের বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে? এদেরকে সরাসরি মানুষের পূর্বপুরুষ না বলে মধ্যবর্তী ফসিলই বা বলা হচ্ছে কেন? চলুন দেখা যাক এই প্রশ্নগুলাের উত্তরে বিজ্ঞানীরা কি বলছেন। দুই পায়ের উপর ভর করে দাঁড়ানাের ক্ষমতাকে মােটামুটিভাবে সব বিজ্ঞানী এখন মানুষের আদি পূর্বপুরুষদের প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য বলে মেনে নিয়েছেন।
অনেকে বড় মস্তিষ্কের কথাও বলেন। কিন্তু আসলে বিবর্তনের ধারায় দেখা যায় যে, দুই পায়ের উপর ভর করে দাঁড়ানােরও বেশ অনেক পরে, মাত্র ২০ লক্ষ বছর আগে, আমাদের পূর্বপুরুষদের মস্তিষ্ক বড় হতে শুরু করেছিল। তাই এখন মস্তিষ্কের আকারকে মানুষের আদিতম পুর্বপুরুষের বৈশিষ্ট্য হিসেবে না ধরে বরং অপেক্ষাকৃত আধুনিক মানুষের (যাদেরকে Homo গণের অন্তর্ভুক্ত করা হয়) পূর্বপুরুষের বৈশিষ্ট্য হিসেবেই ধরা হয়। এখন পর্যন্ত পাওয়া ফসিল রেকর্ড থেকে আমরা যে সব আদি পুর্বপুরুষ প্রজাতিদের কথা সবচেয়ে ভালােভাবে জানতে পেরেছি তাদের মধ্যে Australopethicus afarensis (যার অর্থ দাঁড়ায়, আফার অঞ্চল থেকে পাওয়া দক্ষিণের এপ) এর কথাই প্রথমে বলতে হয়।
সত্তরের দশকের প্রথম দিকে ইথিওপিয়া ও তানজেনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় A. afarensis প্রজাতির আংশিক ফসিল পাওয়া যায়, এর মধ্যে ছিল হাটুর জোড়া এবং পায়ের হাড়ের উপরের অংশ। এখান থেকে বিজ্ঞানীরা ধারণা করতে শুরু করেন যে এরা দুই পায়ের উপর ভর করে হাটতে পারতাে। এর পরবর্তী পাঁচ বছরে আরও অনেক ফসিল খুঁজে পাওয়া গেলেও আসল চমকটির সন্ধান কিন্তু তখনও বিজ্ঞানীরা খুঁজে পাননি। আর সেটি হল প্রায় ৩২ লক্ষ বছর বয়সের বিখ্যাত সেই কঙ্কাল – যাকে পৃথিবী জোড়া সবাই ‘লুসি ↑’ নামে চেনেন।

মানুষের এত আগের পুর্বপুরুষের, এত সম্পূর্ণ ফসিল এর আগে কখনও পাওয়া যায়নি, তাই বিজ্ঞানীমহলে রীতিমত হইচই পড়ে যায় ‘লুসি’কে নিয়ে। এদের হাটুর জয়েন্টের বিশেষ গঠন থেকে বিজ্ঞানীরা দেখান যে, লুসি আসলে দ্বিপদী ছিল। অর্থাৎ, Australopethicus এর বিভিন্ন প্রজাতিগুলােই হয়তাে পৃথিবীর বুকে প্রথম প্রজাতি যারা দুই পায়ের উপর ভর করে হাটতে শিখেছিল। এর আগে আর কোন স্তন্যপায়ী প্রাণীই দুই পায়ের উপর দাঁড়াতে শেখেনি। প্রাণের বিবর্তনের ইতিহাসে এটাই বােধ হয় আমাদের প্রথম দ্বিপদী যাত্রা।
এই অঞ্চলেই আরও ১৩ টি A. afarensis এর ‘গণ কবর পাওয়া গেছে, অনেকেই মনে করেন যে এরা হয়তাে কোন আকস্মিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে একসাথে মৃত্যুবরণ করেছিলাে। এই ফসিলগুলাের বেশীর ভাগই ২৮-৩৩ লক্ষ বছরের পুরনাে, তবে কয়েকটি ফসিলের বয়স ৪০ লক্ষ বছরের কাছাকাছিও রয়েছে[৮]।
তাঞ্জেনিয়ার একটি অঞ্চলে আরও অনেকগুলাে A. afarensis প্রজাতির ফসিল পাওয়া গেছে যাদের বয়স ৩৫-৪০ লক্ষ বছরের মধ্যে। আরও একটি অদ্ভুত জিনিষ পাওয়া গেছে এ অঞ্চলে – এই প্রজাতির দু’টি প্রাণীর পাশাপাশি হেটে এগিয়ে যাওয়ার সময় তাদের পায়ের ছাপগুলাে ফসিলে পরিনত হয়ে গিয়েছিল – হ্যা, আক্ষরিক অর্থেই এই ফসিলগুলাে আমাদের পূর্বপুরুষের পদচিহ্নই বটে। এই পায়ের ছাপগুলাে যেভাবে সংরক্ষিত হয়েছে তা দেখে বােঝা যায় যে, ধারে কাছে কোন আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নৎপাতের সময় লুসির মত দু’জন হেটে গিয়েছিল এই পথ ধরে।

আর তাদেরই পদচিহ্ন আঁকা হয়ে গিয়েছে মাটির বুকে। এ অগ্নৎপাতের সময় চারদিকে আগ্নেয় ভসা উড়তে থাকে, ঠিক সে সময়েই যদি বৃষ্টি পড়তে শুরু করে তবে এই লবণ সমৃদ্ধ ভসাগুলাে খুব তাড়াতাড়ি শক্ত হয়ে জমে যায়। এ রকমই কোন এক মুহুর্তেই আমাদের আদি পূর্বপুরুষের দু’জনের এবং আরও অন্যান্য কিছু প্রাণীর পায়ের ছাপ সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছিল সেখানে। আর এই পদচিহ্নগুলােই আজকে বহন করে চলেছে আমাদের আদি পূর্বপুরুষের দু’পায়ে হাটতে পারার ক্ষমতার নমুনা। তবে আসলেই A. afarensis সম্পূর্ণভাবে দ্বিপদী ছিল কিনা তা নিয়ে বহু দিন ধরেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে গবেষণার অন্ত ছিল না।

কিছুদিন আগে, কয়েকজন বিজ্ঞানী মিলে এক মজার পরীক্ষা করেছেন, তারা কম্পিউটার রােবােটিক্স টেকনলজি ব্যবহার করে লুসির প্রজাতির পায়ের হাড়ের গঠন এবং পদচিহ্নগুলাে থেকে মডেল তৈরি করে দেখিয়েছেন যে, তারা আসলেই দ্বিপদী ছিল[১৭]। ২০০৫ সালে রয়েল সােসাইটি ইন্টারফেস জারনালে তাদের এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়। A. afarensis এর বহু ফসিল পাওয়া গেছে দক্ষিণ, পূর্ব এবং মধ্য আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গা থেকে।
এ থেকে দেখা যায় যে, মােটামুটিভাবে প্রায় ২০ লক্ষ বছর ধরে আফ্রিকা জুড়ে এরা বেশ ভালােভাবেই রাজত্ব করেছিল। পরবর্তী কয়েক লক্ষ বছরে আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েক ধরণের আদি মানুষের বা মানুষ এবং এপের মধ্যবর্তী প্রজাতির বিকাশ ঘটেছিল। তার মধ্যে উল্লেখযােগ্য হচ্ছে, A. afaricanus, A. aethiopicus, A. garhi ইত্যাদি[৫]। এদের ফসিলগুলাে ৩০ লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ বছরের পুরনাে। এর আগে পর্যন্ত আমরা যাদের কথা শুনেছিলাম তাদের সবার গড়নই ছিল বেশ হালকা পাতলা ধরণের কিন্তু এই A. aethiopicus এর গড়ণ অন্যান্যদের তুলনায় বেশ ভারী ধরণের।
আফ্রিকায় ২০ থেকে ১৩ লক্ষ বছরের পুরনাে আরও দু’টি এধরণের ভারী গড়নের প্রজাতির ফসিল পাওয়া গেছে, যাদের নাম দেওয়া হয়েছে Paranthropus robustus এবং P. boisei। এরা কিন্তু আধুনিক মানুষের আরও সাম্প্রতিক পূর্বপুরুষ Homo habilis বা H. erectus (পরবর্তীতে যাদের নিয়ে আলােচনা করা হবে) এর সাথে একই সময়ে পাশাপাশি টিকে ছিল[৮]। Paranthropus এর প্রজাতিগুলাের বিশাল চোয়াল, শক্ত পেশী এবং চিবানাের দাঁত দেখে বােঝা যায় যে, তারা খুব শক্ত ধরণের উদ্ভিদ জাতীয় খাদ্যে অভ্যস্ত ছিল, এরা বহু লক্ষ বছর ধরে বেশ সার্থকভাবে টিকে থেকেও শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের বইয়ের পাদটিকায় পরিণত হয়ে গেল। অনেকেই মনে করেন যে, সে সময়ে জলবায়ু এবং পরিবেশের যে তীব্র ওঠানামা ঘটছিল তার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে না পেরেই শেষ পর্যন্ত এরা বিলুপ্ত হয়ে যায়।

অনিচ্ছা স্বত্তেও উপরে বিভিন্ন প্রজাতির অনেক কঠিন কঠিন বৈজ্ঞানিক সব নামগুলাে উল্লেখ করতে হল, এরচেয়ে সহজভাবে কি করে এটা লেখা যেত তা বের করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত এভাবেই লিখতে বাধ্য হলাম। আর কিছু না হােক, আশা করি পাঠকের কাছে অন্তত এতটুকু পরিষ্কার হয়েছে যে, এই পুরাে সময়টা ধরে একটি নয়, দু’টি নয় বরং বহু দ্বিপদী প্রজাতির পদচারণায় মুখরিত ছিল আমাদের এই পৃথিবী।
অর্থাৎ, অন্যান্য সব প্রাণীর মতই আমাদেরও পূর্বপুরুষদের মধ্যে বহু রকমের প্রজাতির উৎপত্তি ঘটেছে, প্রাকৃতিক নিয়মেই একদিকে যেমন বিভিন্ন ধরণের প্রজাতির বিকাশ ঘটছে, অন্যদিকে কালের পরিক্রমায় তাদের অনেকেই বিলুপ্তও হয়ে গেছে। আগেও যেমনটা দেখেছি – বিবর্তনের পথটা একটা মইয়ের মত সােজা উপরে উঠে যায় না, বরং আঁকাবাঁকা পথে বহু শাখা প্রশাখাবিশিষ্ট্য ঝােপঝাড় তৈরি করতে করতে এগােয়।
ব্যাপারটা ঠিক এরকম নয় যে, সবসময়ই এক প্রজাতি থেকে পরবর্তী আরও অগ্রসর প্রজাতিটির উদ্ভব ঘটে, তারপর তার থেকেও অগ্রসরটির…এভাবে। বিবর্তন তাে পূর্বনির্ধারিত কোন সরলরৈখিক পথ নয়, বরং তার উল্টোটাই ঘটতে দেখা যায় বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই। জীবের মধ্যে ক্রমাগতভাবে বিবর্তন ঘটতে থাকে নতুন নতুন বৈশিষ্ট্যের, এক প্রজাতি থেকে উদ্ভূত হয় বহু প্রজাতি, এমনকি সেখান থেকে ছােট ছােট বহু উপপ্রজাতিও তৈরি হতে পারে। আবার কোন প্রজাতি প্রায় একই অবস্থায়ও থেকে যেতে পারে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে। একদিকে যেমন বহু ধরণের প্রজাতি, উপপ্রজাতি বিকশিত হয়, তেমনিভাবে আবার তাদের মধ্যে কেউ দীর্ঘকাল ধরে টিকে থাকে, কেউ বা বিলুপ্ত হয়ে যায়।

পরবর্তীকালের মানুষের প্রজাতিগুলাের বিবর্তনের ইতিহাসেও আমরা এই একইরকমের আঁকাবাকা, বন্ধুর। এক পথের চিত্র দেখতে পাবাে । উপরে দেখা প্রজাতিগুলাে আমাদের আধুনিক মানুষের সরাসরি পূর্বপুরুষ নাকি আমাদের এই পূর্বপুরুষদের কোন নিকট আত্মীয় তা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে তারা যে বিবর্তনের ইতিহাসে প্রথমবারের মত দু’পায়ের উপর ভর করে দাড়ানাের ক্ষমতা অর্জন করেছিল তা বেশ স্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয়েছে। তারা যদি আমাদের সরাসরি পূর্বপুরুষ নাও হয়ে থাকে, তাদেরই আশেপাশের কোন প্রজাতি বা উপপ্রজাতি থেকেই যে আধুনিক মানুষের উদ্ভব ঘটেছে তা নিয়ে কিন্তু সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।
বিজ্ঞানীরা এই প্রজাতিগুলােকে মানুষ ও অন্যান্য বনমানুষের মধ্যবর্তী ফসিল বা মিসিং লিঙ্ক হিসেবে চিহ্নিত করেন। অনেকে এও বলেন যে, সুসি গলা এবং ঘাড়ের নীচের অংশে মানুষ কিন্তু উপরের অংশে বনমানুষ বৈ আর কিছুই নয়। লুসির প্রজাতির প্রাণীদের কোমড়ের হাড় মানুষের মত বেশ ওড়া হয়ে গেছে এবং হাটুর জয়েন্টের গঠনও মানুষের কাছাকাছি। এছাড়া বাকী বৈশিষ্ট্যগুলাে বিচার করলে কিন্তু তাদেরকে বনমানুষের দলেই ফেলতে হয়।

মস্তিষ্কের আকার শরীরের চেয়ে অনেক ছােট, মাত্র ৪০০ মিলি লিটার (robust প্রজাতিদের মস্তিষ্কের আকার ছিল একটু বড়, ৫০০ মিলি লিটারের মত), চোয়ালের আকার বনমানুষের মতই, হাতগুলাে শিম্পাঞ্জি এবং গরিলার মত বেশ লম্বা, ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে আকারে পার্থক্যটাও বেশ চোখে পড়ার মত। তাদের আঙ্গুলগুলােও বেশ বড় এবং বাঁকানাে যা থেকে বােঝা যায় যে, তারা তখনও গাছের ডাল আঁকড়ে ধরে রাখতে বেশ পটু ছিল।
তবে ২০ লক্ষ বছরের দিকে আমরা এদের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের যে প্রজাতিগুলাে দেখতে পাই তাদের অনেকের মধ্যেই আধুনিক মানুষের কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য বিকশিত হতে শুরু করেছিল। পরবর্তিকালের এই আধুনিক মানুষের কাছাকাছি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন প্রজাতিদের Hom০ দলের (গণ) অন্তর্ভুক্ত করা হয়, আর আমরা নিজেরা এই দলেরই একজন বলে আমাদেরকে নাম দেওয়া হয়েছে Homo sapiens। চলুন এবার তাহলে আরও সাম্প্রতিক কালের পূর্বপুরুষদের বিবর্তনের ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখা যাক।
৫.↑ Skybreak, A. 2006, The Science of Evolution and The Myth Of Creationism, Insight Press, Illinois, USA.
৮.↑ Stringer, C and Andrews, P, 2005, The complete Wrold of Human Evolution, Thames and Hudson Ltd, London.