ম্যালেরিয়া অধ্যুষিত আফ্রিকায় কেনাে ভয়াবহ সিকেল সেল (Sickle Cell) রােগের জিনের ছড়াছড়ি?
আফ্রিকাবাসীদের মধ্যে যে সিকেল সেল এ্যনেমিয়া (রক্তাল্পতা) রােগের বিষম প্রকোপ দেখা যায় তার সাথে ম্যলেরিয়া রােগের একটা আশ্চর্যরকম সম্পর্ক রয়েছে। আসুন দেখা যাক প্রকৃতিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এধরণের চাক্ষুষ উদাহরণগুলাে কিভাবে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মুলনীতিটাকে আমাদের সামনে তুলে ধরছে।
আফ্রিকা এবং ভুমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে সিকেল সেল এ্যনেমিয়া নামের এই ভয়াবহ রােগটার কারণ আর কিছুই নয়, মানুষের শরীরে একধরণের ত্রুটিপূর্ণ হিমগ্লোবিনের কারণে এই রােগের উৎপত্তি ঘটে এবং তারপর প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। হিমগ্লোবিন নামের এই জটিল অনুটির সাহায্যেই আমাদের রক্তের ভিতরের লােহিতকনিকাগুলাে (Red Blood Cells) শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে।
চারটি পাকানাে পলিপেপটাইড চেইনের সমন্বয়ে একটি হিমােগ্লোবিন কণার সৃষ্টি হয় – তার মধ্যে দুটি আলফা চেইন এবং আর অন্য দুটি হচ্ছে বেটা চেইন। প্রত্যেকটি আলফা চেইনের মধ্যে ১৪১টি এমাইনাে এসিড আর প্রত্যেকটি বেটা চেইনের মধ্যে ১৪৬টি এমাইনাে এসিড থাকে, অর্থাৎ আমাদের একটি হিমােগ্লোবিন কণার মধ্যে ৫৭৪টি এমাইনাে এসিড থাকে । সুস্থ হিমােগ্লোবিন ‘A’ এবং সিকেল সেল হিমােগ্লোবিন ‘S এর মধ্যে গঠনগত পার্থক্য খুবই সামান্য; বেটা চেইনের ভিতরে গ্লুটামিন (Glutamin) নামের এমাইনাে এসিডটি ‘ভ্যালিন (Valine) নামক এমাইনাে এসিড দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়ে গেলেই অসুস্থ এই হিমােগ্লোবিনের উৎপত্তি হয়।
হ্যা, ব্যাপারটা একটু গােলমেলেই বটে! ৫৭৪টির মধ্যে মাত্র একটা এমাইনাে এসিড বদলে গেলেই কি এক ভয়াবহ রােগের জন্ম হয়ে যাচ্ছে আমাদের দেহে! সিকেল সেল হিমােগ্লোবিনগুলাে রক্তের ভিতরের লােহিতকনিকাকে বিকৃত করে ফেলে, সাধারণ অবস্থায় এরা দেখতে চাকতির মত হলেও এই রােগের ফলে তারা কাস্তের মত আকার ধারণ করে বসে। আর গােল বাঁধে সেখানেই। এই বিকৃত আকারের লােহিতকনিকাগুলাে ছােট ছােট রক্তনালীগুলাের মুখ আটকে দেয়।
আর আমাদের শরীর তখন প্রতিক্রিয়া হিসেবে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এই অস্বাভাবিক কোষগুলােকে ধ্বংস করে দিতে শুরু করে এবং তার ফলশ্রুতিতেই রােগীর শরীরে রক্তাল্পতা (Anemia) দেখা দেয়। সিকেল সেল এনেমিয়ায় আক্রান্ত কোষগুলাে মাত্র ৩০ দিন বেঁচে থাকে, যেখানে রক্তের সুস্থ লােহিতকনিকাগুলাে বেঁচে থাকে ১২০ দিন। এ্যানেমিয়ার কারণে এই রােগে আক্রান্ত শিশুরা খুব সহজেই বিভিন্ন ধরণের সংক্রামক রােগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে[৮]।
আমরা জানি যে, আমাদের দেহ কোষে প্রত্যেকটি বৈশিষ্ট্যের জন্য যে দুটি করে জিন রয়েছে তার একটি আসে মার কাছ থেকে আর আরেকটি দেয় বাবা। যারা বাবা এবং মা দুজনের কাছ থেকেই সিকেল সেলে আক্রান্ত হিমােগ্লোবিনের জিন পায় তারাই এই রােগ নিয়ে জন্মায় এবং শিশু বয়সেই মৃত্যুবরণ করে। আর যাদের মধ্যে একটি স্বাভাবিক জিন এবং আরেকটি অসুস্থ জিন থাকে তাদের মধ্যে এই রােগের বৈশিষ্ট্য থাকলেও তা সব সময় চোখে ধরা পরে না বা এত চরম আকার ধারণ করে না। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এরা সুস্থভাবে জীবন যাপন করে, শুধুমাত্র কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে তাদের মধ্যে এ্যানেমিয়ার লক্ষণ দেখা যায়।
পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকায় প্রচুর সিকেল সেল এ্যানেমিয়ার রুগী দেখা যায়, এমনকি এমনও দেখা গেছে কোন কোন গােষ্ঠীর শতকরা ৩০% লােকই এই রােগে আক্রান্ত। বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানীরা স্বভাবতই প্রশ্ন করলেন, কেমন করে একটা জনপুঞ্জের মধ্যে এরকম মারাত্মক একটি বিকৃত জিন এত বেশী হারে টিকে থাকতে পারলাে? প্রাকৃতিক নির্বাচনের নিয়মে কি এর অনেক আগেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল না? আর এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই বিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ এক তথ্য আবিষ্কার করলেন।
ভৌগলিকভাবে সিকেল সেল এনেমিয়ার জিনের বিস্তৃতির প্যাটার্নটা খেয়াল করলে একটা অদ্ভুত জিনিস লক্ষ্য করা যায় – যে যে এলাকায় এই রােগটি দেখা যায় ঠিক সেই সেই এলাকায় এবং তার আশে পাশে ম্যালারিয়া রােগের প্রকোপটাও বড্ডো বেশী। দীর্ঘদিনের চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণা থেকে দেখা গেলাে যে, যাদের কোষের মধ্যে মাত্র একটি সিকেল সেল এ্যনেমিয়ার জিন থাকে (আরেকটি সুস্থ জিন) তাদের ম্যালেরিয়া প্রতিরােধকারী ক্ষমতা দুটি সুস্থ জিনের অধিকারী লােকদের চেয়ে অনেক বেশী। কি অদ্ভুত না ব্যাপারটা? কোন একসময় কোন এক মিউটেশনের ফলশ্রুতিতে হয়তাে আফ্রিকাবাসীদের মধ্যে এই বিকৃত জিনটা ছড়িয়ে পড়েছিলাে।
প্রাকৃতিক নির্বাচনের নিয়ম মেনে দেখা গেলাে, যে অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশী সেখানে সিকেল সেল এনেমিয়ার একটা জিন ধারণকারী লােকের টিকে থাকার ক্ষমতাও বেড়ে যাচ্ছে, কারণ হিমোগ্লোবিনের এই রােগ বহনকারী জিনটা ম্যালেরিয়া রােগ প্রতিরােধে বেশী কার্যক ভুমিকা রাখতে পারছে। অন্যদিকে যাদের মধ্যে দুটিই সুস্থ জিন রয়েছে তারা ম্যালেরিয়া রােগে আক্রা হয়ে মারা যাচ্ছে অনেক বেশী হারে।
তাহলে এখন প্রাকৃতিক নির্বাচনের নিয়মে এখানে কি ঘটার কথা হ্যাঁ, এই ত্রুটিপূর্ণ জিন বহনকারী মানুষগুলােই শেষ পর্যন্ত ম্যালেরিয়া রােগের চোখ রাঙানীকে উপেক্ষা করে বেশীদিন টিকে থাকতে পারছে এবং বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম হচ্ছে। তার ফলে যা হবার তাই হল, টিকে থাকার দায়েই শত শত প্রজন্ম পরে দেখা গেলাে আফ্রিকাবাসীদের একটা বিশাল আংশের মধ্যেই ছড়ি পড়েছে বিকৃত সিকেল সেল এনেমিয়ার জিন। কি চমৎকার একটি উদাহরণ প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্য ঘটা বিবর্তন তত্ত্বের!
বিবর্তনের মাধ্যমে কোটি কোটি বছরের বিভিন্ন রকমের এবং মাপের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যদি আমাদের উৎপত্তি না হত তাহলে এ ধরনের বৈশিষ্ট্যগুলাের কোন অর্থই থাকতো না। একজন বুদ্ধিদীপ্ত সৃষ্টিকর্তা কেনাে এরকম হাজারাে দূবর্লতা, বিকৃতি এবং গোঁজামিল দিয়ে তাঁর সৃষ্টিকে তৈরি করতে যাবেন? কেনাে তাকে এক রােগ সারাতে গিয়ে জন্য আরেক রােগের বীজ পুড়ে দিতে হবে শরীরে? কাজেই মানুষের কল্পনায় সৃষ্টি আলৌকিকত্ব দিয়ে নয়, বরং একমাত্র বিবর্তনবাদের মাধ্যমেই এই ধরনের ঘটনাগুলােকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব, প্রকৃতিতে এধরনের হাজারাে ঘটনা রয়েছে যা প্রচলিত সৃষ্টিতত্ত্ব বা ‘ইনটেলিজেন্ট ডিজাইন” তন্তু দিয়ে কোনভাবেই ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।
এতক্ষণ আমরা দেখলাম বিভিন্ন ধরণের মাইক্রো বিবর্তনের (Microevolution) উদাহরণ যেখানে প্রজাতির ভিতরেই বিভিন্ন ধরনের ছােট ছােট পরিবর্তন বা বিবর্তন ঘটছে। এরকম হাজারটা উদাহরণ রয়েছে আমাদের চোখের সামনেই। আমরা আগের অধ্যায়ে দেখছি যে, ভৌগলিকভাবে একটা প্রজাতির কিছু অংশ আলাদা হয়ে গেলে তাদের মধ্যে এধরণের ছােট ছােট পরিবর্তনগুলাে জমতে জমতে একসময় এমন অবস্থায় দাঁড়ায় যে তারা আগের সেই বিচ্ছিন্ন অংশের থেকে একেবারেই আলাদা প্রজাতিতে পরিণত হয়।
তখন চাইলেও আর আগের জাতভাইদের সাথে মানে আগের স্বজাতীয় প্রানীগুলাের সাথে তাদের অন্তঃপ্রজনন আর সম্ভব হয় না; ফলে একই প্রজাতির দুই দল সম্পূর্ণ দুটি আলাদা প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়। এই রকম অবস্থা থেকেই ঘটে মাইক্রোবিবতনের ‘বড়দা’ Macroevolution বা ম্যাক্রোবিবর্তন। ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতা ছাড়াও নতুন প্রজাতি তৈরি হতে দেখা গেছে, এমনকি বিজ্ঞানীরা ল্যবরেটরিতে নতুন প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রাণী তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন।
যেমন, ডবঝানস্কি এবং পাভলভস্কি ১৯৭১ সালে ড্রসােফিলা নিয়ে অন্তরনের পরীক্ষার মাধ্যমে ড্রসােফিলার ভিন্ন একটি প্রজাতি উদ্ভাবনে সমর্থ হয়েছিলেন[৯]। উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পলিপ্লয়ড, এলােপলিয়ডের মাধ্যমে ল্যাবরেটরীতে কোয়ান্টাম প্রজাতি তৈরী করা সম্ভব হয়েছে। বৈজ্ঞানিক জার্নালগুলােতে এ ধরনের সফল পরীক্ষার অনেক উদাহরণ আছে [১০]।
বস্তুতঃ বিবর্তনের পক্ষে প্রমাণ আজ এতােই বেশী যে সেগুলােকে অস্বীকার করার অর্থ অনেকটা পৃথিবীর গােলত্বকে অস্বীকার করার মতই। বিবর্তনের পক্ষে যে সমস্ত সাক্ষ্য হাজির করা যায় তা হল : প্রাণ রাসায়নিক প্রমাণ, কোষবিদ্যা বিষয়ক প্রমাণ, শরীরবৃত্তীয় প্রমাণ, সংযােগকারী জীবের (Connecting link) প্রমাণ, ভৌগলিক বিস্তারের (Geographical distribution) প্রমাণ, তুলনামূলক অঙ্গসংস্থানের প্রমাণ, শ্রেনীকরণ সংক্রান্ত প্রমাণ, নিষ্ক্রিয় বা বিলুপ্তপ্রায় অঙ্গের প্রমাণ ইত্যাদি। আর ফসিল থেকে পাওয়া হাজারাে সাক্ষ্য-প্রমাণ তাে আছেই।
আজকে সরীসৃপ থেকে কিভাবে পাখী বিবর্তিত হয়েছে তারও প্রায় সম্পূর্ণ ধাপগুলাে পাওয়া গেছে, পাওয়া গেছে মাছ থেকে উভচর, উভচর থেকে সরীসৃপ, সরিসৃপ থেকে স্তন্যপায়ী প্রাণীর বিবর্তনের মধ্যবর্তী ধাপগুলােও। বিশেষ করে সরিসৃপ থেকে স্তন্যপায়ী জীবে বিবর্তনের সম্পূর্ণ ধাপগুলাে আজকে খুব ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত; মধ্যবর্তী ধাপগুলাে এতােই পরিস্কার যে বিজ্ঞানীরা পর্যন্ত দ্বিধায় পড়ে যান এই ভেবে যে এগুলােকে ‘Mammal-like Reptile’ বলবেন নাকি ‘Reptile-like Mammal’ বলবেন [১১]। Synapsids, Therapsida, Cynodonta থেকে শুরু করে আদি স্তন্যপায়ী প্রাণী পর্যন্ত সবগুলাে ধাপের একাধিক ফসিল পাওয়া গেছে। এমনকি তাদের চোয়াল কিভাবে ধাপে ধাপে বিবর্তিত হয়ছে সেগুলােও ফসিল থেকে উদ্ধার করা গেছে [১২]।
বিজ্ঞানীরা কেবল ফসিলের উপরেই নির্ভর করে বসে নেই, তারা প্রাণীদেহে ম্যাক্রো-বিবর্তনের জন্য দায়ী। একটি অত্যন্ত প্রয়ােজনীয় জিন খুঁজে বের করেছেন যার নাম Ubx complex। এডােয়ার্ড লিউস এর জন্য ১৯৯৫ সালে নােবেল পুরষ্কার লাভ করেন। এই Ubx জিন আসলে বহুল-খ্যাত Hox জিনের একটি। এই জিনগুলােই আসলে প্রাণীদেহের কাঠামাের নিরব পরিকল্পনাকারী। এ জিনগুলােই বলে দিচ্ছে একটি মাছির কয়টি পাখা থাকবে আর মাকড়শার কয়টি পা থাকবে।
এগুলাে সর্বপ্রথম পাওয়া যায় ফুট-ফ্লাই-এ, পরে সেগুলাে মাছ, ব্যাঙ কিংবা মানুষেও সমান গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে সনাক্ত করা হয়। এগুলাের সামান্য অদলবদলেই বাহ্যিক গঠনে যে বিপুল পরিবর্তন করা সম্ভব তা সম্বন্ধে বিজ্ঞানীরা আজ নিশ্চিত (এ বইয়ের পরিশিষ্টে এ নিয়ে আরাে বিস্তারিতভাবে আলােচনা করা হয়েছে)। আসলে জীববিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ববিজ্ঞান, জেনেটিক্স এবং আনবিক জীববিদ্যার কোন শাখাই বিবর্তনের কোন সাক্ষ্যের বিরােধিতা তাে করছেই না, বরং যত দিন যাচ্ছে বিবর্তনের ধারাটি সবার কাছে স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয়ে উঠছে; বিবর্তনতত্ত্ব দিন দিন হয়ে উঠছে এক কথায় অপ্রতিরােধ্য।
বিবর্তনবাদ বিরােধীরা প্রায়ই বলে থাকেন যে, মাইক্রো-বিবর্তন ঘটতে দেখা গেলেও ম্যাক্রো-বিবর্তন নাকি কখনই দেখা যায়নি – মজার ব্যাপার হচ্ছে তাদের অন্যান্য প্রচারণাগুলাের মতই এটাও এক্কেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণােদিত এবং মিথ্যা। চলুন তাহলে এবার এধরণের কিছু উদাহরণ নিয়েই আলােচনা করা যাক। কোন জীবের চারিদিকের পারিপার্শ্বিকতা, বংশবৃদ্ধির এবং মিউটেশনের হার ও গতি প্রকৃতি, জিনপুলের প্রভাব ইত্যাদির অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে এই ম্যাক্রো-বিবর্তন ঘটবে কি ঘটবে না। সাধারণত আমাদের এক জীবনকালের সীমিত সময়ের মধ্যে এক প্রজাতি থেকে আরেক প্রজাতির বিবর্তন ঘটতে দেখা যায় না। এটা ঘটতে হাজার, লক্ষ বা কোটি বছরও লেগে যেতে পারে।
কিন্তু কখনাে কখনাে প্রকৃতিতে কোন বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে খুব দ্রুতও ঘটে যেতে পারে এই বিবর্তন প্রক্রিয়া। বিজ্ঞানীরা একটু অবাকই হয়েছিলেন প্রথমে, কিন্তু এখন বুঝতে পারছেন যে, বিবর্তন দ্রুত, অত্যন্ত দ্রুত, ধীরে বা অত্যন্ত ধীরে – সব ভাবেই ঘটতে পারে। এ প্রসঙ্গে ডঃ রিচার্ড ডকিনসের সাম্প্রতিক মন্তব্যটি উল্লেখযােগ্য —
“Evolution, for instance, normally takes too long to make an impact within a human lifespan……. The amazing thing is how alarmingly fast evolution can sometimes go, when conditions are right. Let’s hope bird flu won’t turn out to be an example.”
বিবর্তনের পথ ধরে
৮.↑ Berra TM, 1990, Evolution and the Myth of Creationism. Stanford University Press, p 52
৯.↑ Dobzhansky T, Pavlovsky O, Experimentally created incipient species of Drosophila, Nature. 1971 Apr 2;230(5292):289-92.
১০.↑ রেফারেন্স তালিকা...
১১.↑ Collapse of Intelligent Design: Talk by Ken Miller, Professor of Biology, Brown University↑
১২.↑ Dr. Douglus J Futuyma (2005), Evolution, Sinauer Associates, INC, MA, USA