কয়েক দশকে আণবিক জীববিদ্যা, জেনেটিক্স, জিনােমিক্সের বিভিন্ন আবিষ্কারগুলাে বিবর্তনবাদকে অত্যন্ত জোড়ালাে ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিখ্যাত বিজ্ঞানী রিচার্ড ডকিন্সের মতে পৃথিবীতে যদি একটাও ফসিলের অস্তিত্ব না থাকতাে তাহলেও জীবের বিস্তৃতির প্যাটার্ন এবং তাদের ডিএনএ-এর ভিতরে জিনের মধ্যে লেখা বংশগতীয় তথ্য থেকেই বিবর্তনের ইতিহাস বর্ণনা করা সম্ভব হতাে।
এখন কোন সন্দেহ নেই যে আমরা আফ্রিকার এক ধরনের বনমানুষ থেকে বিবর্তিত হয়েছি; জীবিত প্রজাতির মধ্যে শিম্পাঞ্জিরা আমাদের খুব কাছের আত্মীয়। কারণ আমরা একই পুর্বপুরুষ থেকে উদ্ভূত হয়ে দুটি ভিন্ন ধারায় বিবর্তিত হয়েছি। শারীরিক, আণবিক এবং ব্যবহারগত সাদৃশ্য থেকে পূর্ববর্তী বিবর্তনের ধারা সম্বন্ধে জানা গিয়েছে। বৈসাদৃশ্যগুলাে (যেমন, মানুষ খাড়া হয়ে হাটতে পারে, তাদের বিবর্ধিত মস্তিস্কের আকার, তাদের ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক বিকাশ ইত্যাদি) আমাদের সত্যিকারের মানুষ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বিবর্তনের মাইলফলক গুলাে খুঁজে পেতে সাহায্য করছে।
মানুষ শিম্পাঞ্জী, গরিলা এবং ওরাং ওটাং একই সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে ভিন্ন ধারায় বিবর্তিত হয়েছে। পাশের ছবিতে এদের মধ্যে জেনেটিক সম্পর্ক দেখানাে হয়েছে।