বিভিন্ন প্রাণীর শারীরিক গঠনের মধ্যে সাদৃশ্য থেকে বােঝা যায় যে তারা একই উৎস থেকে বিবর্তিত। হয়েছে। এখন আমরা আধুনিক জেনেটিক্স-এর জ্ঞান থেকেও জানতে পারছি যে, এরকম বিভিন্ন প্রাণীর ডিএনএর মধ্যেও লক্ষ্যণীয় মিল দেখা যায়। একই ভাবে বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে এখনও বিদ্যমান। বিলুপ্তপ্রায় এবং অপ্রয়োজনীয় অংগগুলাে বিবর্তনের সাক্ষ্য বহন করে।
সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত হয়েছে বলেই সব মেরুদণ্ডী প্রাণীর প্রণ শুরুতে একই রকম দেখায়। এমনকি প্রথমে শ্বাস জালিকার সংখ্যাও সমান থাকে, তারপর প্রণের বয়স যত বাড়তে থাকে এই বাহ্যিক সাদৃশ্য তত কমে আসে। উপরের ছবিতে পাঁচ সপ্তাহ বয়সী মানব প্রণের মধ্যে লেজ এবং শ্বাস জালিকার অস্তিত্ব দেখা যাচ্ছে।
বিভিন্ন মেরুদণ্ডী প্রাণীর সামনের হাত বা অগ্রপদের মধ্যে কি অস্বাভাবিক মিলই না দেখা যায়! ছবিতে দেখা যাচ্ছে পাখি, ব্যাঙ, বাদুর, তিমি, বিড়াল, টিকটিকি এবং মানুষের অগ্রপদের গঠন প্রায় একই রকম।