মধ্যবর্তী ফসিল বা মিসিং লিঙ্কগুলােতে কোন জীবের পূর্ববর্তী থেকে পরবর্তী প্রজাতিতে বিবর্তনের । মাঝামাঝি বৈশিষ্ট্যগুলাে দেখা যায়। সৃষ্টিতত্ত্ববাদীরা প্রায়ই দাবী করেন যে, এ ধরণের কোন ফসিল নাকি কখনও পাওয়া যায়নি। যারা বিবর্তনবাদ সম্পর্কে একটু আধটু খবর রাখেন তারা সবাই জানেন। যে এই দাবীটি কত মিথ্যা। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত এত ধরণের মধ্যবর্তী ফসিলের সন্ধান পেয়েছেন যে এক প্রজাতি থেকে আরেক প্রজাতির বিবর্তনের ব্যাপারটা জলের মতই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
পা-ওয়ালা তিমি মাছ: চার কোটি বছর আগের Dorudon atrox-এর ফসিল। সম্পূর্ণ জলচরী হওয়া সত্বেও এর তখনও পা সদৃশ উপাঙ্গ বিদ্যমান ছিল। এটি তিমি মাছের চারপায়ী স্তন্যপায়ী পূর্বপুরুষ এবং আধুনিক তিমির মধ্যবর্তী অবস্থার ফসিল।
টিকটালিকঃ ২০০৬ সালে বিজ্ঞানীরা এই মাছ এবং চতুষ্পদী প্রাণীর মধ্যবর্তী ফসিল টিকটালিক (Tiktaalik roseae)-এর সন্ধান পান। প্রায় সাড়ে ৩৭ কোটি বছর আগের এই প্রাণীটির মধ্যে একদিকে যেমন রয়েছে মাছের মত পাখনা, আদি চোয়াল এবং আঁশ, আবার অন্যদিকে আছে চতুষ্পদী প্রাণীর মত করােটি, ঘাড়, পাঁজড়ের হাড় এবং আংশিক হাত ও পায়ের অস্তিত্ব!
আরকিওপটেরিক্সঃ ১৫ কোটি বছর আগের পাখি এবং ডায়নােসরের মধ্যবর্তী ফসিল বা মিসিং লিঙ্ক। এদের গায়ে পাখীর মত পালক থাকলেও তখনও সরীসৃপের বৈশিষ্ট্যগুলােও বিদ্যমান ছিল।