বিবর্তন তত্ত্ব আজকে আমাদের শুধু প্রাণের বিকাশ, বিলুপ্তি এবং টিকে থাকার ব্যাপারটাই বুঝতে সাহায্য করছে না, আজকের এই জীবজগৎ কি করে ক্রমাগতভাবে বদলে যাচ্ছে এবং তা আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রাকে কিভাবে প্রভাবিত করছে তার একটা পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যাও দিচ্ছে। বিবর্তনবাদ না বুঝলে আজকে আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যা, ওষুধ বা কীটনাশক তৈরি, পরিবেশ দূষণরােধ থেকে শুরু করে জীববিদ্যার সকল শাখাই অকেজো হয়ে পড়বে।
অ্যান্টিবায়ােটিকের অতিপ্রয়ােগ এবং অপপ্রয়ােগের ফলে আজকে পৃথিবী জুড়ে নতুন নতুন প্রতিরােধক ব্যকটেরিয়ার উদ্ভব হচ্ছে, যাদের উপর প্রচলিত অ্যান্টিবায়ােটিকগুলাে আর কাজ করতে পারছে না। কিভাবে এই ব্যাকটেরিয়াগুলাের বিবর্তন ঘটে তা বুঝার উপরই নির্ভর করছে এ সমস্যার সমাধান। যে কোন অ্যান্টিবায়ােটিক তৈরীর পেছনে বিবর্তন তত্ত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমাদের চারদিকে এ বৈচিত্রময় পরিবেশ একদিনে তৈরি হয়নি, কোটি কোটি বছরের বিবর্তন প্রক্রিয়ায় এর উদ্ভব ঘটেছে। এই প্রবাল দ্বীপ বা গভীর অরণ্য থেকে শুরু করে আমাদের চারপাশের প্রকৃতি মানুষের অজ্ঞতা, অপব্যবহার এবং অবহেলায় বিপর্যস্ত হওয়ার পথে । আমাদের নিজেদের টিকে থাকার স্বার্থেই এদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
দিনের পর দিন শক্তিশালী কীটনাশক প্রয়ােগ করে আমরা আমাদের স্বাস্থ্যের এবং পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করে চলেছি। তাই বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানীরা কীটনাশক প্রয়ােগের বদলে জৈব উপায়ে শস্যের জন্য ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ দমনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। পাশের ছবিতে সয়াবিনের জন্য ক্ষতিকর এক ধরণের কীট দেখানাে হয়েছে।