মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে

অভিজিৎ রায় ও ফরিদ আহমেদ

প্রাণের সন্ধান খুঁজিছে প্রাণ মম

পোস্ট টপিক

লিখেছেনঃ ড. বিপ্লব পাল

Throughout these infinite orbs of mingling light,
Of which yon earth is one, is wide diffused
A Spirit of activity and life,
That knows no term, cessation, or decay.
– P B Shelley (Queen Mab, 1813)

 

(অসীম বিদীর্ণ পরিব্যাপ্ত আলােকসজ্জা
যে অনন্তের অনুপ্রাণ ধরিত্রীর বুকে
প্রাণের স্পন্দনে জেগে ওঠা প্রাণ
অনাদি, অনন্ত… আবহমান।)

রােববার সকালে এই মুহুর্তে আমার অস্তিত্বটা বিচ্ছিন্ন। আমি মানে- পিতা,পুত্র, স্বামী, বাঙালী, ভারতীয়, আমেরিকান, ইঞ্জিনিয়ার, লেখক সবাইকে শ্বশানে পুড়িয়ে ভেবে চলেছি এই মহাবিশ্বের চোখে আমি কে? এ প্রশ্ন আদি অনন্তকালের। আমি নিশ্চিত উদরপূর্তি অন্তে প্রতিটা পশুই চিন্তা করে সে কে! সেই মিশরীয় সভ্যতা থেকে যাবতীয় মানবিক অনুসন্ধিৎসা-উপনিষদ, গীতা, কোরান, বাইবেল ইত্যাদি সমস্ত ধর্মগ্রন্থকে যদি কেও এক কথায় প্রকাশ করতে বলে- আমি বলবাে সবই আম নামে এই সত্ত্বার অনুসন্ধান। তবে সেই যুগের চেয়ে আমার হাতে এখন অনেক বেশী তথ্য-আমি আমার জৈবরাসায়নিক সত্ত্বাকে জানি। আরাে জানি মহাবিশ্বের উৎপত্তির সাথে কিভাবে বিবর্তিত হয়ে চলেছে মানুষ নামের এই অদ্ভুত জীবটি। যেক্ষণে আমার চেতনার রাডারে উদ্ভাসিত এই হাজার কোটি বছরের বেঁচে থাকা মহাবিশ্বের এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোনে পৃথিবীর বুকে এক ক্ষুদ্রতম স্থান দখল করে কয়েক সেকেন্ড বা তার চেয়েও ক্ষণজন্মা মানুষ হচ্ছে আমি’-স্থান কালের এই অসীম বিহ্বলতা আর মহানুভবতার ব্যাপ্তিতে বিদীর্ন হয় আমার। অহংকার- সম্পূর্ণ হয় নগণ্য তুচ্ছাতিতুচ্ছ আমি সত্ত্বার আত্মসমর্পন। বিজ্ঞান এবং ধর্মের এক ক্রান্তিমিলন। অনুভব করি মহাবিশ্বের রহস্যময় বিশালতার কাছে আমি সত্ত্বার আত্মসমর্পনে।

অভিজিত রায় এবং ফরিদ আহমেদের লেখা প্রাণের প্রাণ জাগিছে তােমার প্রাণে  বাংলাগদ্য সাহিত্যে চমকপ্রদ সংযােজন। যারা এই মানব সত্ত্বাকে বিজ্ঞানচক্ষুতে বিশ্লেষণ করে, সেই আদি-অনাদি প্রশ্নের উৎসমুখে, যুক্তিবাদি চেতনার বারিধারায় সিক্ত হতে চান, তাদের জন্য অভিনব এবং তথ্যবহুল উপস্থাপনা অভিজিত আর ফরিদের।

প্রথম অধ্যায় প্রাণের ভাববাদি বনাম বস্তুবাদি ব্যাখ্যায় নিয়ােজিত। লেখক ব্যাখ্যা করেছেন প্রাণ এবং আত্মনের সন্ধানে ধর্ম বনাম বিজ্ঞানের যাত্রা। রমন লাম্বার মৃত্যু থেকে জেমিফক্সের জীবনপ্রাপ্তি-ইত্যাদি অসংখ্য জনপ্রিয় উদাহরণের মাধ্যমে প্রতিভাত হয় প্রাণের বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞার গুরুত্ব এবং ব্যাপ্তি। সাথে সাথে সাধারণ পাঠকের কাছে বােধগম্য হয়ে ওঠে প্রাণের জৈবিক, তথা জৈবরাসায়নিক ব্যাখ্যা।

দ্বিতীয় অধ্যায়ের উপস্থাপনা জীবনের জৈবরাসায়নিক ভিত্তি । কি সেই সাধারণ ভিত্তি বা নির্ণায়ক যার নিক্তিতে ভাইরাস এবং আমার-দুজনেরই প্রাণ আছে। এমিব্যা এবং আমি, উভয়েই প্রাণী! জীবের জৈবরাসায়নিক স্বরূপ উন্মোচনের রােমাঞ্চকর ইতিহাস প্রাঞ্জল ভাষায় মুর্ত প্রতিটা শব্দে। শেষে যুক্তির সিঁড়িভাঙা গদ্যে প্রাণের উপসংহার-প্রাণরূপ আত্মনের সত্ত্বা হচ্ছে প্রতিলিপি বানানাে (রেপ্লিকেশন) এবং কার্যকরী মিউটেশনের মাধ্যমে এই পরিবেশের আরাে উপযােগী, সফল ভাবে বেঁচে থাকা উত্তরাধিকারীর জন্মদান। যার পােষাকি নাম ডারউইনিয়ান বিবর্তন।

তৃতীয় অধ্যায়ে আমরা পাচ্ছি প্রাণের উদ্ভবের জৈব তথা জৈবরাসায়নিক ইতিহাস। কেমন করে ধরিত্রীর বুকে সৃষ্ট হলাে এই জৈবরাসায়নিক প্রাণ? কাদের অক্লান্ত গবেষণায় আজ আমরা জেনেছি, অজৈব যৌগ থেকে জৈব যৌগ এবং জৈব যৌগ থেকে প্রাণ-প্রােটিনের উদ্ভবের কথা? প্রাণের উৎপত্তির ওপর যাবতীয় নব্য এবং ঐতিহাসিক গবেষণার ডালি নিয়ে হাজির তৃতীয় এবং চতুর্থ অধ্যায়। লুই পাস্তুর থেকে ওপারিন হ্যালডেন, সেখান থেকে উরি মিলারের যুগান্তকারী পরীক্ষার মাধ্যমের এমাইনাে এসিড তৈরী-প্রাণকে জানার জন্য মানুষের অনুসন্ধিৎসার বৈজ্ঞানিক অভিযান। এর লােমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন লেখক। পাঠকের কৌতুহলী মনকলস পূর্ণ হবে আবিষ্কারের রােমাঞ্চকর গদ্যে এবং তথ্যবহুল অথচ সুলালিত ভাষার। চমৎকারিত্বে।

পঞ্চম অধ্যায়টি আরাে গুরুত্বপুর্ণ-এখানে আমরা জানছি উরি-মিলারের পরীক্ষার পর, সিডনি ফক্সের গবেষণা। কি করে প্রােটিন থেকে জীবন সদৃশ প্রােটিন এবং প্রােটিনয়েড মাইক্রোস্ফিয়ারের জন্ম হলাে এই পৃথিবীতে। ক্রমশ উৎপত্তি ভিরয়ডস -এবং প্রিয়নের। এরা প্রাণ এবং জড়ের সীমান্ত নাগরিক। তাই প্রাণের অনুধাবনে এদের জৈবরাসায়নিক সত্ত্বাকে বােঝা বিশেষভাবে প্রয়ােজন। এর মাধ্যমেই আমরা জানছি কি ভাবে আস্তে আস্তে ঢুকলাে নিউক্লও আসিড কোড-যেদিন ওই কোড সংযােজিত হলাে আদিম মাইক্রোস্পেয়ারের মধ্যে, পৃথিবীর বুকে বিবর্তনের পথে প্রতিষ্ঠা হলাে প্রাণের। এ অধ্যায়ে আমাদের অতিরিক্ত প্রাপ্তি সরল জেনেটিক ডি এন এ থেকে আস্তে আস্তে জটিল ডি এন এ, অর্থাৎ আরাে জটিল প্রাণ সৃষ্টির বিজ্ঞানগাঁথা।

প্রাণ যদি কোন ঈশ্বর ছাড়াই এত স্বতস্ফুর্ত ভাবে ভূমিষ্ঠ হতে পারে, এই মহাবিশ্বে পৃথিবীর বাইরেরও পাওয়া সম্ভব প্রাণের সন্ধান। ষষ্ঠ অধ্যায়ে ফরিদ আহমেদ লিখছেন এই সৌরজগতে প্রাণের সন্ধানে মানুষের কৌতুহলী গবেষণা। যে কল্পনায় জুলে ভার্ন থেকে শুরু করে লেখা হয়েছে হাজার হাজার কল্পবিজ্ঞান। কিন্তু এই অধ্যায় কল্পবিজ্ঞান না-সৌরজগতে প্রাণের সন্ধানে বৈজ্ঞানিক পদাবলি। মঙ্গল , বৃহস্পতির চাদ ইউরােপ এবং শনির চাঁদ টাইটানকে ঘিরে আমাদের আশা ভরসা ছিল সব থেকে বেশী। সৌরসংসারে একাকীত্বর একঘেয়েমি কাটানাের জন্য, প্রতিবেশীর সন্ধানে ভয়েজার, পায়ােনীয়ার, ক্যাসিনি থেকে হাবল টেলিস্কোপের যাবতীয় বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টার গল্প বলেছেন ফরিদ। অত্যন্ত তথ্যবহুল এবং নিখুঁত এই লেখা।

সপ্তম অধ্যায় প্রাণের সৃষ্টিতে প্যানসপারমিয়া তত্ত্বের। পৃথিবীর বুকে ধাক্কা খাওয়া এস্টারয়েড এবং ধুমকেতুর অনেকেই সমৃদ্ধ মিথেন, ইথেন ইত্যাদি জৈবানুতে। এরাই কি একদিন পৃথিবীতে বয়ে এনেছিল প্রাণ? রােপন করেছিল সভ্যতার জয়যাত্রা? সমস্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তুলে এনেছেন ফরিদ আহমেদ। পঞ্চম খৃষ্টপূর্বাব্দে গ্রীক দার্শনিক এনাক্সেগােরাসের চিন্তা যে ধারণার ধাত্রীগৃহ, তার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি স্থাপন গত শতাব্দিতে – হেলমােজ, আরেহেনিয়াস থেকে এই চিন্তাকে টেনে বিজ্ঞানের পায়ে দাঁড় করান ফ্রেড হয়েল এবং ভারতীয় বংশােদ্ভূত বিজ্ঞানী চন্দ্রবিক্রমসিংহে।

বহির্বিশ্বে প্রাণের উদ্ভব-এহেন ধারণার পেছনে মূল কারণ, প্রাণের বয়স নিয়ে সংশয়। চন্দ্র যখন তৈরী হলাে, এটা ধরে নেওয়া যায়, তখন পৃথিবীর বুকে আবহাওয়া থাকলেও তা প্রাণের অনুকুল ছিলাে না। সমস্যা হচ্ছে প্রাণের বিবর্তন জৈবরাসায়নিক মানতে গেলে, আদি প্রােটিন ফসিলের বয়স অনুযায়ী এটাও মানতে হয়ে পৃথিবীর বুকে প্রাণের উৎপত্তি হয়েছে বেশ দ্রুত-যখনও হয়তাে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলও তৈরী হয় নি! এবং চাদ তৈরী হওয়ার সময়ও অক্ষত ছিল সেই প্রাণ। যা প্রায় অসম্ভব। অনেকেই মনে করেন। প্রাণের বয়স প্রায় ৯ বিলিয়ন বছর, যেখানে পৃথিবীর বয়স মােটে ৪-৫ বিলিয়ন। এর মধ্যে চাদ তৈরী হওয়ার পর শেষ তিন বিলিয়ন বছরে প্রায় ধারাবাহিক ভাবে পৃথিবী প্রাণের যােগ্য । অন্যদিকে নানা পরীক্ষায় এটা প্রমাণিত সত্য ব্যাকটেরিয়া মহাশূন্য এবং চাদে সময় কাটিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে বেঁচে উঠতে পারে। অর্থাৎ লম্বা মহাজাগতিক পরিভ্রমণে পাড়ি দিয়েও তাদের কেও কেও বেঁচে থাকে। উপযুক্ত পরিবেশ পেলেই বংশবিস্তারে সক্ষম হয় আবার।

এই নিয়ে সবচেয়ে বেশী হইচই কেরালায় লাল বৃষ্টিকে কেন্দ্র করে। বৃষ্টির মধ্যে লাল এককোষি জীবেদের সন্ধান পাওয়া যায় ২০০৩ সালে- ছ’মাস আগে ২০০৬ এর এপ্রিল মাসের এক গবেষণা পত্রে গফ্রে লুইস নামে এক বিজ্ঞানী এদেরকে বহির্বিশ্বের বলে দাবি করেন। কারণ তারা ১৩০ সেন্টিগ্রেড ফুটন্ত জলেও বেঁচে থাকে যা ইহজগতের কোন জীবাণু পারে না। তবে বিশ্ববিখ্যাত ভারতীয় জোতির্বিজ্ঞানী জয়ন্তবিষ্ণু নারালিকার হায়দ্রাবাদে একই ধরনের লাল মেঘের ওপর (মাটি থেকে বিয়াল্লিশ কিলােমিটার উঁচুতে ) পরীক্ষা চালিয়ে ব্যাসিলাস সিক্লেক্স এবং স্টেফাইলােকক্কাসের সন্ধান পান। যা পৃথিবীরই জীবাণু। সুতরাং -১০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে প্রাণের বেঁচে থাকাটাও অবাক করা ব্যাপার। যাইহােক দাবি এবং পালটা দাবি নিয়ে জমে উঠেছে পানসপারমিয়া তত্ত্ব। আশা করা যায় লেখক তার এই চ্যাপ্টারটি খুব শীঘ্রই নতুন দাবিগুলির আলােকে লিখবেন। খুবই আনন্দের কথা ভারতের বিজ্ঞানীরা এর ওপর প্রচুর গবেষণা করছেন। কারণ ভারতের ওপরেই এই ধরনের মেঘের সন্ধান পাওয়া গেছে।

অষ্টম অধ্যায় ড্রেকের সমীকরণ নিয়ে। যা মহাবিশ্বে কতগুলি গ্রহে প্রাণ থাকতে পারে বা উন্নতবুদ্ধির জীব। থাকতে পারে, তার একটা স্কুল মান। অনেক বিজ্ঞানীই এটা মানেন না। ড্রেকের সমীকরণ প্রথম শুনি বিশ্ববিখ্যাত জ্যোর্তিবিজ্ঞানী অমলেন্দু রায়চৌধুরীর মুখে। আমি তখন নরেন্দ্রপুরে একাদশ শ্রেনীর ছাত্র-উনি টানা দুঘণ্টা লেকচার দিয়েছিলেন ড্রেকের সমীকরণের ওপরে। মহাবিশ্বে প্রাণের বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনায় দুলে উঠেছিল মন। ড্রেকের সমীকরণ থেকে প্রাপ্তি মহাবিশ্বের অন্য সৌরমন্ডলীতে প্রাণের উদ্ভবের সম্ভাবনা কতদূর বিজ্ঞানসম্মত। উনার সমীকরণ অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়-যতটা সমীকরণ গঠন করার মেথােডােলজীটা। এই অধ্যায়েও বিষয়বস্তুর ব্যাখ্যায় মনােময় নির্মলতা এবং ত্রুটিহীন উপস্থাপন বিশেষভাবে দৃষ্ট।

শেষ অধ্যায় মহাজাগতিক বুদ্ধিমত্তার সন্ধানে রেডিও তরঙ্গের প্রয়ােগ। নাসা থেকে শুরু করে বিশ্বের। যাবতীয় শৌখিন এবং পেশাদারি বিজ্ঞানীরা মহাকাশ থেকে আগত রেডিও সিগন্যাল বিশ্লেষণ করছেন। এবং পালটা সিগন্যাল পাঠাচ্ছেন অন্য মহাবিশ্বের দিকে যদি তারা আমাদের রেডিও ভাষা উদ্ধারে সক্ষম হয়। এই বিপুল কর্মযজ্ঞ কি ভাবে সংগঠিত হচ্ছে-আপনিও কি ভাবে এতে অংশ নিতে পারেন-এই নিয়ে তথ্যবহুল আলােচনা। বস্তুত রেডিও টেলিস্কোপ মহাকাশ বিজ্ঞান বদলে দিয়েছে এফোর-ওফোঁর করে।

পরিশেষে বলি অত্যন্ত সুখপাঠ্য এই গ্রন্থ। শুধু একটা ফাঁক নিয়ে না বললেই না। আশা করবাে লেখকবৃন্দ পরের গ্রন্থ প্রকাশে জৈবরাসায়নিক বিবর্তন থেকে মানব চেতনা’র উদ্ভব নিয়ে লিখবেন। চেতনা বা কনসায়েন্স কি, এটা জানা জরুরী-আমি সত্ত্বার বিশ্লেষণে কোয়ান্টাম বাস্তবতার সাথে তথ্যবিজ্ঞান এবং জৈবরসায়নের ত্রিবেণী সঙ্গমে তৈরী জৈব মানবের উচ্চতর কাঠামাে তথ্যমানব। পরের সংস্করনে এই অভাব পুরন হবে-আশা রাখি।

 

ক্যালিফোর্নিয়া ১১/২০/০৬


বিপ্লব পাল

আমেরিকা প্রবাসী আলোক প্রযুক্তিবিদ ও লেখক।


 মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে

0 0 votes
Post Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
0
মন্তব্য করুনx
()
x
Scroll to Top
Scroll to Top
১ম অধ্যায়

২য় অধ্যায়

৩য় অধ্যায়

৪র্থ অধ্যায়

৫ম অধ্যায়

৬ষ্ঠ অধ্যায়

৭ম অধ্যায়

৮ম অধ্যায়

৯ম অধ্যায়

গ্রন্থ আলোচনা/সমালোচনা