ভালোবাসা কারে কয়

অভিজিৎ রায়

১১. অর্গাজমিক মাইণ্ড

বিখ্যাত জীবাশ্মবিদ এবং বিবর্তন বিজ্ঞানী স্টিফেন জে. গুল্ড মনে করতেন নারীর চরম পুলকের কোনো বিবর্তনীয় উপযোগিতা নেই[১৫৩]। এটা অনেকটা বিবর্তনের সাইড-ইফেক্ট যাকে তিনি ডাকতেন স্প্যান্ড্রেল নামে। বড় বড় ইমারত তৈরি করার সময় দেখা যায় যে, দুটি খিলানের মাঝে স্প্যান্ড্রেল বাড়তি উপাদান হিসেবে এমনিতেই তৈরি হয়ে যায়, ইমারতের কারিগরি নকশার প্রয়োজনে নয়, বরং উপজাত হিসেবে। এই স্প্যান্ড্রেলগুলো ইমারতকে মজবুত করতেও সাহায্য করে না, আরোপ করে না কোনো বাড়তি গুণাগুণ। কোনো প্ল্যান প্রোগ্রাম ছাড়াই এগুলো কাঠামোতে উড়ে এসে জুড়ে বসে । যৌন সঙ্গমের সময় নারীর পুলকের ব্যাপারটাও গুল্ড মনে করতেন অনেকটা সেরকমেরই, যার স্বকীয় কোনো ‘সার্ভাইভাল ভ্যালু’ নেই; এটা স্রেফ বিবর্তনের উপজাত।

এভাবে ভাবার অবশ্য কারণ আছে। পুরুষদের জন্য পুলক বা অর্গাজম সরাসরি বীর্যপাতের সাথে যুক্ত। অর্থাৎ বীর্যপাতের সময়টাতেই পুরুষেরা চরম পুলক অনুভব করে। পুরুষদের ক্ষেত্রে পুলকের ব্যাপারটা সরাসরি প্রজননের সাথে যুক্ত থাকায় এ থেকে ‘পুরুষালি অর্গাজমের’ বিবর্তনগত উপযোগিতা সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে তা নয়। নারীর চরম পুলকের সাথে গর্ভধারণের কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই। সত্যি বলতে কী চরম পুলক ছাড়াও নারীর পক্ষে গর্ভধারণ সম্ভব, এবং সেটা অহরহই ঘটছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে শতকরা মাত্র ১৫ ভাগ নারী সঙ্গমের সময় সবসময়ই চরম পুলক লাভ করে, ৪৮ ভাগ নারী অধিকাংশ সময়, ১৯ ভাগ নারী জীবনের কখনো-সখনো, ১১ ভাগ নারী কদাচিৎ আর ৭ ভাগ নারী জীবনের কখনোই অর্গাজম অনুভব করে না[১৫৪]। অর্থাৎ, পুরুষদের অর্গাজমের ব্যাপারটা প্রচ্ছন্ন হলেও মেয়েদেরটা রহস্যময়, জটিল এবং অনেক সময় সাগরতীরে মৎস্যকুমারীর দেখা পাওয়ার মতোই যেন অলভ্য।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই সনাতন স্প্যান্ড্রেল আর উপজাত তত্ত্বের বাইরে গিয়ে নারীর পুলকের বেশ কিছু বিবর্তনীয় ব্যাখ্যা হাজির করেছেন বিবর্তন মনোবিজ্ঞানীরা। জীববিজ্ঞানীরা আবার এর মধ্যে খেয়াল করেছেন যে, মানুষ ছাড়াও অন্য প্রাইমেটদের নারীদের মধ্যেও চরম পুলকের অস্তিত্ব রয়েছে[১৫৫], [১৫৬]। ব্যাপারটা সত্যি হয়ে থাকলে নারী অর্গাজমের বিবর্তনগত উপযোগিতা থাকা অসম্ভব কিছু নয়।

বহু বিবর্তনবাদী মনোবিজ্ঞানী অভিমত দিয়েছেন যে, এই প্রক্রিয়ায় আসলে নারীরা তাদের অজান্তেই পুরুষদের বীর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে, এবং অর্গাজমের জটিল অথচ মায়াবী প্রক্রিয়ায় যোগ্য কিংবা সঠিক পুরুষটিকে বাছাইয়ের কাজ করে ফেলে। অর্গাজমের সময় একটি নারীর শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়ে উঠে, হৃৎস্পন্দনের হার বেড়ে যায়, মুখ দিয়ে গোঙানির মতো শব্দ বের হতে থাকে, মাংশপেশীর সংকোচন বা খিঁচুনির মতো অবস্থা ঘটে, কারো কারো ক্ষেত্রে হয় হ্যালুসিনেশন বা অলীক দর্শন[১৫৭]। নারীর ভেতরে চলা এই জটিল এবং রহস্যময় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নারী সনাক্ত করে নেয় তার কাঙ্ক্ষিত ‘মিস্টার রাইট’কে। সে হিসেবে চিন্তা করলে অর্গাজম আসলে নারীর এক ধরনের ‘মেট সিলেকশন ডিভাইস’ বা সঙ্গী নির্ণায়ক যন্ত্র। নিউইয়র্ক টাইমসের খ্যাতনামা বিজ্ঞান লেখিকা ন্যাটালি এঞ্জিয়ার সেজন্যই তার একটি বইয়ে লিখেছেন[১৫৮]

নারীর পুলক হচ্ছে নারী অভিরুচি বাস্তবায়নের এক চূড়ান্ত অভিব্যক্তি। … এটা নারীর মতো করে গোপন বিতর্কের নিয়ন্ত্রণ নিজ হাতে তুলে নেওয়ার একটি সচেতন প্রক্রিয়া।

নারীর পুলকের সময় জরায়ুসহ বিভিন্ন মাংশপেশীর অবিরত সংকোচন ঘটে চলে। বিজ্ঞানীরা বলেন এই সংকোচন ঘটার পেছনে সুনির্দিষ্ট কিছু কারণ আছে। এই জরায়ুর মাংশপেশী সংকোচনের মাধ্যমে একটি নারী নিশ্চিত করে যে, জরায়ুর গ্রীবাদেশীয় শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি (Cervical Mucus Barrier) অতিক্রম করে সে যেন শুক্রাণুকে নিজের দেহভ্যন্তরে পুরোপুরি টেনে নিতে পারে। আমি একটি প্রকাশিত কেস স্টাডি থেকে এমন ঘটনার সন্ধানও পেয়েছি যে, অর্গাজমের চাপে একটি পুরুষের কন্ডম পর্যন্ত ভিতরে শুষে নিয়েছিল একটি নারীর দেহ, পরবর্তী অনুসন্ধানে কন্ডমটি পাওয়া গিয়েছিল নারীটির সার্ভিকাল ক্যানালের সরু পথে আটকে যাওয়া অবস্থায়[১৫৯]। এ থেকে অনুমান করা যায় যে, অর্গাজম বা নারী পুলকের মূল লক্ষ্য থাকে শুক্রাণুকে যতদূর সম্ভব ডিম্বাণুর কাছাকাছি পৌঁছে দেয়া, এর ফলে বৃদ্ধি পায় গর্ভধারণের সম্ভাবনা।

বিজ্ঞানীরা এটাও দেখেছেন যে, নারীর অর্গাজম হলে সে যে পরিমাণ শুক্রাণু নিজের অভ্যন্তরে ধারণ করে, অর্গাজম না হলে তার চেয়ে অনেক কম শুক্রাণু সে তার মধ্যে ধারণ করতে পারে। অর্থাৎ অর্গাজম হলে নারীর নিজের অভ্যন্তরে শুক্রাণুর ধারণ ক্ষমতা নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়[১৬০]। যেমন, দেখা গিয়েছে স্বাভাবিক অবস্থায় একটি নারী সাধারণত সঙ্গমের পর মোটামুটি ৩৫ ভাগ শুক্রাণু নিজ দেহ থেকে বের করে দেয়। কিন্তু নারীর অর্গাজম হলে সে প্রায় সত্তুর ভাগ স্পার্ম নিজের মধ্যে ধারণ করে, আর বের করে দেয় ৩০ ভাগ। তার মানে চরম পুলক না হবার অর্থ হলো, অধিকতর বেশি শুক্রাণুর বর্জন। এই সাক্ষ্যগুলো সেই ‘স্পার্ম রিটেনশন’ তত্ত্বকেই সমর্থন করে যার মাধ্যমে নারী অধিক সংখ্যক শুক্রাণুকে যোনি থেকে জরায়ু এবং ডিম্বাশয়ের দিকে টেনে নিয়ে প্রকারান্তরে নিশ্চিত করতে চায় সঠিক পুরুষকে দিয়ে নিজের গর্ভধারণের সম্ভাবনা।

এখন কথা হচ্ছে সঠিক পুরুষটি কেমন হতে পারে যে কি না নারীকে নিয়মিত অর্গাজম উপহার দেবে? কোনো কিছু চিন্তা না করেই বলা যায় যে পুরুষটির একটি গুণ হতে পারে- সে দেখতে শুনতে হবে সুদর্শন। জীববিজ্ঞানের ভাষায় সুদর্শন পুরুষের মানে হচ্ছে প্রতিসম (Symmetrical) চেহারা আর দেহের অধিকারী পুরুষ। কারণ বিবর্তনীয় পথপরিক্রমায় নারীরা বুঝে নিয়েছে যে, প্রতিসম চেহারা এবং দেহসৌষ্ঠবের অধিকারী পুরুষেরা স্বাস্থ্যবান, তাদের দেহ রোগ জীবাণুর আবাসস্থল নয়, অর্থাৎ মোটা দাগে তারা ‘সুপেরিয়র জেনেটিক কোয়ালিটি’র অধিকারী। রান্ডি থর্নহিল স্টিভেন গেংস্টাডের গবেষণা থেকে দেখা গেছে, নারীদের পুলকের পৌনঃপুনিকতা এবং চরম পুলকানুভূতি আনয়নের ক্ষেত্রে সুদর্শন পুরুষেরাই অধিকতর বেশি সফল হয়ে থাকে[১৬১]

সুদর্শন পুরুষেরাও আবার সে ব্যাপারটি ভালো করেই জানে এবং বুঝে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, সুদর্শন পুরুষেরা খুব কম সময়ের মধ্যেই (Shortest Courtship) যে কোনো ভালোবাসার সম্পর্ককে যৌনসম্পর্কের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এও দেখা গেছে, পশ্চিমা দেশে সুদর্শন পুরুষেরা ডেট করার সময় গড়পড়তা প্রতি নারীর পেছনে কম সময় এবং অর্থ ব্যয় করে। শুধু তাই নয় সুদর্শন স্বামীরা অনেক বেশি হারে স্ত্রীদের প্রতারণা করে অন্য সম্পর্কে জড়ায়[১৬২]

তবে নারী পুলক নিয়ে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ব্যাপারটি বেরিয়ে এসেছে বিজ্ঞানী রবিন বেকার এবং মার্ক বেলিসের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা থেকে। তাদের গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে সমস্ত নারীরা পরকীয়ায় মত্ত, তাদের অর্গাজম অনেক বেশি হয়। মানে, নিয়মিত সঙ্গীর চেয়ে গোপন প্রেমিকের সাথে সঙ্গমে নারীর চরম পুলকের হার অনেক বেশি থাকে তাদের ক্ষেত্রে। ব্রিটেনের ৩৬৭৯ জন নারীর উপর জরিপ চালিয়ে তারা দেখেছেন যে, তাদের ঋতুচক্রের সবচেয়ে উর্বর সময়গুলোতেই তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে, যে সময়টাতে তাদের গর্ভধারণ করার সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি[১৬৩]। এটাও দেখা গেছে যে, পরকীয়ারত নারীরা স্বামীর সাথে অনেক বেশি পুলক জালিয়াতি (Fake Orgasm) করে স্বামীদের আশ্বস্ত রাখতে চেষ্টা করে সম্ভবত এই ধারণা দিতে যে, সে কেবল তার স্বামীর প্রতিই রয়েছে বিশ্বস্ত[১৬৪]

নিঃসন্দেহে স্বামীদের জন্য কোনো সুসংবাদ নয় এটি। কিন্তু এ ব্যাপারগুলো থেকে বোঝা যায় যে, মেয়েদের মেটিং স্ট্র্যাটিজি সব সময় স্বামীকে তুষ্ট করে ‘যৌন বিশ্বস্ত’ হয়ে চলার জন্য বিবর্তিত হয়নি, বরং বিস্তৃত হয়েছে কখনো-সখনো উৎকৃষ্ট জিনের সন্ধানে নিজের প্রজনন সফলতাকে বাস্তবায়িত করার জন্যও। মাথা নেড়ে যতই এটাকে অস্বীকারের চেষ্টা করা হোক না কেন, বিবর্তনের অমসৃণ যাত্রাপথে রয়েছে এর সুস্পষ্ট পদচিহ্ন।

চোখের আলোয় দেখেছিলেম মনের গভীরে

ভালোবাসার কথা বললেই আমাদের সামনে সবার আগে হৃদয়ের কথা চলে আসে। বিদগ্ধ প্রেমিক-প্রেমিকারা অহরহ ‘হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল’ হয়ে ওঠে, সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আসল সত্যটা হলো বিজ্ঞানীরা বলেন, ভালোবাসার উৎস হৃদয় নয়, বরং মস্তিষ্ক। শুধু তাই নয়, বিবর্তন মনোবিজ্ঞানী জিওফ্রে মিলারের মতে, মানুষের মস্তিষ্ক বা ব্রেন হচ্ছে এক ‘Magnificent Sexual Ornament’, যা যৌনতার নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তিত হয়েছে আমাদের পছন্দ-অপছন্দ অভিরুচিকে মূল্য দিয়ে।

মিলারের মতে মস্তিষ্কের প্রকৃতিও অনেকটা পুরুষাঙ্গের মতোই যৌন নির্বাচনের ফসল। আমরা সে সমস্ত সঙ্গীর সাথেই থাকতে পছন্দ করি যাদের সাথে থেকে আমরা সুখী বোধ করি[১৬৫]। আর কার সাথে সুখী বোধ করব, তা নির্ধারণ করে আমাদের মস্তিষ্ক, হৃদয় নয়। আমরা যেমন স্বাস্থ্যবান, সুদর্শন সঙ্গী পছন্দ করি, তেমনি পছন্দ করি এমন কাউকে যে রসিকতা বোঝে, প্রেম-ভালোবাসার ব্যাপারে রোমান্টিক এবং বিশ্বস্ত, শিল্প-সাহিত্য সঙ্গীতের ব্যাপারে সমঝদার। আমরা এ ধরনের গুণাবলিগুলো পছন্দ করি কারণ বিপরীত লিঙ্গের চাহিদাকে মূল্য দিয়ে আমাদের মস্তিষ্ক অভিযোজিত হয়েছে আর আমাদের পছন্দ-অপছন্দ আর ভালো লাগাগুলো বিবর্তিত হয়েছে যৌনতার নির্বাচনের পথ ধরে। যৌনতার নির্বাচনই আমাদের মস্তিষ্কে তৈরি করেছে গান-বাজনা, নৃত্য-গীত, কাব্য, শিল্প-সাহিত্য, স্থাপত্যকর্ম, খেলাধুলা, বাগ্মিতা প্রভৃতির প্রতি অনুরাগ। যাদের মধ্যে এ গুণাবলি আমরা খুঁজে পাই, তারা অনেক সময়ই হয়ে ওঠে আমাদের পছন্দের মানুষজন।

বিজ্ঞানীরা লক্ষ করেছেন যে, মস্তিষ্কের প্রকৃতি বদলে গেলে ভালোবাসার প্রকৃতিও বদলে যায়। এরকম একটি কেস স্টাডির কথা আমি সম্প্রতি পড়েছি পল ব্লুমের ‘হাও প্লেসার ওয়ার্ক্স’ বইয়ে। ১৯৩১ সালে নথিবদ্ধ এ ঘটনা থেকে জানা যায় এক মহিলা তার স্বামীকে নিয়ে অহরহ অভিযোগ করতেন তার সঙ্গী মোটেই পরিশীলিত নয়, কেমন যেন অদক্ষ চাষাভূষা টাইপের। বরদাস্তই করতে পারতেন না তিনি স্বামীকে একেবারে। কিন্তু কিছুদিন পরে কোনো এক রোগে কিংবা দুর্ঘটনায় মহিলাটির মস্তিষ্কের বড় একটা অংশ আহত হয়।

দুর্ঘটনার পর স্মৃতিশক্তি ফিরে পাওয়ার পর তার সঙ্গী সম্বন্ধে দৃষ্টিভঙ্গিই বদলে গিয়েছিল। যে লোকটাকে কিছুদিন আগেও অপরিশীলিত চাষাড়ে বলে মহিলার মনে হচ্ছিল, সেই সঙ্গী তার কাছে রাতারাতি আবির্ভূত হলেন “ধনবান, বুদ্ধিদীপ্ত, সুদর্শন এবং বর্ণাঢ্য” ব্যক্তি হিসেবে। সত্যি বলতে কী যৌনাকর্ষণ এবং রোমান্টিক প্রেমের ব্যাপারগুলো রয়ে যায় মস্তিষ্কের খুব গভীরে, মনের গহীন কোণে। মস্তিষ্কের আঘাত সেই মহিলাটিকে সুযোগ করে দিয়েছিল একেবারে নতুনভাবে শুরু করতে, ফলে তার চিরচেনা সঙ্গী তার কাছে আবির্ভূত হয়েছিল একেবারে নতুন মানুষ হিসেবে, অনেক পছন্দনীয় হিসেবে। অর্থাৎ, মস্তিষ্কের প্রকৃতি বদলে যাওয়ায় মহিলাটির ভালোবাসার প্রকৃতিও বদলে গিয়েছিল।

‘A Midsummer Night’s Dream’ নাটিকায় শেক্সপিয়র উচ্চারণ করেছিলেন, ‘Love looks not with the eyes but with the mind’। শেক্সপিয়র মিথ্যে বলেননি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথও তার একটি গানে যে কথাটি বলেছিলেন, ‘চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে’; সেই কথাটিকেই সামান্য বদলে দিয়ে বিবর্তন মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে বললে বলা যায় —

চোখের আলোয় দেখেছিলেম মনের গভীরে।
অন্তরে আজ দেখব, যখন আলোক নাহি রে। ।

আশা করছি রবীন্দ্রনাথের গানে বিবর্তন মনোবিজ্ঞানের কাঁচি চালানোয় রবীন্দ্রভক্তরা মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে যাবেন না। ভালোবাসার দাবি বলে কথা!


 ভালোবাসা কারে কয়


 

১৫৩.↑  E.A. Lloyd, The Case of The Female Orgasm: Bias in the science of evolution. Cambridge MA: Harvard University Press, 2005 Also see, S.J. Gould, (1992). Male Nipples and Clitoral Ripples. In Bully for Brontosaurus: Further Reflections in Natural History. New York: W. W. Norton. pp. 124-138, 1992.

১৫৪.↑  Carol Tavris & Susan Sadd, The Redbook Report on Female Sexuality, New York: Delacorte, 1977

১৫৫.↑  AK Slob, and JJ van der Werff ten Bosch. Orgasm in non-human species. In Proceedings of the First International Conference on Orgasm, pp. 135-149, 1991.

১৫৬.↑  Alan F. Dixon, Primate Sexuality. Comparative Studies of the Prosimians, Monkeys, Apes, and Human Beings, Oxford University Press, Oxford, 1998

১৫৭.↑  Louann Brizendine M.D., The Female Brain, Broadway; March 23, 2006

১৫৮.↑  Natalie Angier, Woman: An Intimate Geography, Anchor; Reprint edition, 2000

১৫৯.↑  I. Singer, “Fertility and the female orgasm.” In Goals of Human Sexuality, London: Wildwood House, p 159–97, 1973

১৬০.↑  K Dawood, KM Kirk, JM Bailey, PW Andrews, NG Martin. Genetic and environmental influences on the frequency of orgasm in women, Twin Research and Human Genetics, 8(1) : p 27-33, 2005.

১৬১.↑  R. Thornhill, S. W. Gangestad, & R Comer Human female orgasm and mate fluctuating asymmetry. Animal Behaviour, 50, 1601-1615, 1995.

১৬২.↑  Louann Brizendine, The Female Brain, Three Rivers Press, August 7, 2007

১৬৩.↑  R.R. Baker & M.A. Bellis, Human Sperm Competition: Copulation, Masturbation and Infidelity, Springer, 1999

১৬৪.↑  Louann Brizendine, The Female Brain, Three Rivers Press, August 7, 2007

১৬৫.↑   Paul Bloom, How Pleasure Works: The New Science of Why We Like What We Like, W. W. Norton & Company; 2010)

শেয়ার করুন —
5 1 vote
Post Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
0
মন্তব্য করুনx
()
x
Scroll to Top
Scroll to Top
১ম অধ্যায়

২য় অধ্যায়

৩য় অধ্যায়

৪র্থ অধ্যায়

৫ম অধ্যায়

৬ষ্ঠ অধ্যায়

৭ম অধ্যায়

৮ম অধ্যায়